২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৫
শেয়ার করুন:
সেই বন্ধু, যার সাথে পত্রমিতালি নেই, ফোন নেই, কথা অল্প, কেবল জলভেজা বাতাস, রুমালে সেই জলগন্ধমোছা আছে। নির্বাচনে উত্তর পুনর্বিবেচনা করতে গিয়ে হোটেলঘরে কফির অর্ডার কালোরঙা উত্তাপে জড়ালো সে। মাশরুম ছিল কয়েকবছরের পাতানো সম্পর্কগুলির রস থেকে বেঁচেবর্তে। মাথার উপর ঝুলে আছে পুরোনি মেঘ, বোকা চাঁদ, এইরকম শব্দ, টেবিলে টেবিল থেকে চেয়ারে এবং পেছনথেকে মৃদু হাতের চাপে বাক্যহয়ে যায়। তারপর, শৌখিন জাদুকরের টুপি থেকে খরগোষ বেরুল, মাদারির হাততালিতে ফেটে পড়ল রক্তাক্ত ফুসফুস। মেয়েলি সাইকেলে রাত্রগভীর হওয়ার কিছু আগে বেল বাজল, চিঠি এলো টিকিটছাড়া খামে ভারী হয়ে । তারকয়েক মাইল দূরে নদীওযে একসময় নদী হয়ে ওঠে, সেইপাঠ দিচ্ছিল এক পূর্ন কিশোরি এক অপরিনত যুবককে। যুবক অন্ধকারে হাত ধরল, ছাড়িয়ে নিল, যৌনতার ইঙ্গীতে তার মন উথলে ওঠায় এবং তা গোপন করতে। হাতের কড়খাওয়া আঙুল নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেনিল।সেইসব চরিত্ররা প্যানডোরা বাক্স থেকে কৌটোগুলো বের হবার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। রাস্তায় জমেগেল মানুষ। ভীষনগতিতে সাবাই জানতে চাইছে, কী হচ্ছে, বাঁচা-মরা, দুটোই কী অসম্ভব। যার যার পকেট থেকে প্রস্তুত হতে চিরুনি বার করার জন্য হাত ঢুকিয়ে বের করে আনল রুমাল। মাশরুম । নারী ও পুরুষ। মানুষ ও মানুষ। চিঠি না লেখার সাফল্য। কফির বিল দিয়ে কাপ চেটে নিল, দুজনেই, দুজনে আড়াল করে নিজেদেরকে।
No comments:
Post a Comment