Wednesday, June 17, 2009

তারপর এইসব

১৭ ই এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৩:১২
শেয়ার করুন:
অপরাধের দায়ভার ফেলে রেখে,ছায়ার খোলসে হাত ঢেকে ফেলি।ছোট পয়সা ও তার সাধারন ব্যর্থতায়,জন্মনিয়ন্ত্রন নীতির সাফল্য নির্ভর সিটি শুনে, সন্ধিমোড় পার হই, চোখ খুলেই, কোনও জট নয়।জিপারে মোম ঘসে গড় আয়ু পোষ মানিয়ে নেই। অন্ধস্কুলের ঘন্টা বাজার আগে দৃশ্যমানের চমৎকার, ফলে বাড়ির পথ চওড়া হয়ে ওঠে আরও। থুথু, জিহ্বা ছিটকিনি ও বেসিনের জলের মাঝখানে, দুজনকেই আলাদা করে দাঁড়ায়, উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে, মাথার পেছন দিক, পিঠ তেমনই, নিশানার বাইরে ক্লীব। শিশুবোধ ছলে হাতের খোলসে ছায়াই ঢেকে ফেলি

স্বপ্নবিবর্তনে ফুটকি ও দাড়ি

১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৩১
শেয়ার করুন:
কাগজে নাম লেখা খেলায়, যারা তখনও টিকিট কাটেনি, তাদের পরিকল্পিত আলোচনায় জুটে যায় ফের গজানো ফুটকি ও দাড়ি। একেকটি ফুটকি ঠোঁট ফাঁক হওয়ার পর নো-ম্যানস ল্যান্ড দিয়ে বসে পরে লাইনের প্রথমে তারপরের জায়গায় বিন্দুতে লেজ জুড়ে 'মনযোগি' ঘাম,কোমড়, পেশি, কলম,হিপ পকেট,চোরাগোপ্তা সংবাদ---এদের গন্ধ অচেনা হয়ে যায়, একেক ভাবে। টেপা মুখ খুলে গিয়ে গিলতে থাকে সব পোষাকবিহীন উৎসব বিরতিতে টিকিটের হাত বদল, নো-এন্ট্রি ও পারকিং লটফুটকি বাড়তে বাড়তে লাইনের শেষে জায়গা ধরে দাড়ি। স্বপ্ন বিবর্তন গনকযন্ত্রে ভেড়া গোনায়, নিজের চোখ দেখে ফেলে নামের তালিকায়

সমানুপাতিক

১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:০১
শেয়ার করুন:
চোখের কোটরে, পিছনদিকে, টাকা ও সনদে গন্ধবাহক অনুএইভাবে জন্ম থেকে চিনে চিনে, সমানুপাতিক মানুষ ও পশু

গল্পকল্প

২০ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ২:৩৮
শেয়ার করুন:
সাইকেল চালানোর আগের বয়সগুলিতে এই ধাতুর খাঁচার সুবিধা চোখে পড়তে থাকে। প্যাডেল চাপদিয়ে চাকা ঘোরানো। কাত হয়ে মোড় নিয়ে, পাশ কাটিয়ে যাওয়া। কয়েক কিলোমিটারের বদলে সামান্য সময়। আঙুলে চাবি আটকানো যেকোনও নায়কের ইশারা নকল এবং সিরিয়াস মেয়ের জন্যও হাসি আটকে থাকে। উফ: ভীষন। ভীষন । সীট একটু গরম হয়ে পরে।যথেষ্ট গরম হয়। ভিজে যায়।হ্যান্ডেলবার দুপায়ে ফাঁকেধরে সোজা করা। পেছনের ক্যারিয়ার পুরোনো টিউবের কেরামতিতে বাধ্য থাকতে শুরু করে। পীচগলা রাস্তা, বর্ষার পলিথিন আচ্ছাদন, গরমে হাওয়ার ভনিতা---সাইকেল ও আরোহি'র হাঁটার অনুপাতে দিনবদল। উফ: ভীষন। ভীষন । খালি পথ।খালি সাইকেল । ব্রেকচাপার দুটো সরু বাঁকানো শলার হাঁফানো কুকুরের চোয়াল ও জিহ্বার অবস্থান। টিং টিং। নিজে নিজেই চলছে। দীপঙ্কর, বেঁটে মতন ছেলে, নিসঙ্গ সাইকেল চিনে ফেলে, গলি থেকে সরে দাঁড়ায়।

মুখ ঢাকা রূপমান ঘোর পাশে পটের বিবি

২১ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৫৮
শেয়ার করুন:
মুখ ঢাকা যায় রূপমান ঘোরে, ছবি এবং ছবি বিহীন আমোদবীজধান বেড়ে দিয়ে, শ্বাস মুলতুবি রাখে, কমলা, পটের বিবি

গল্পকল্প আরেক

২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৩৭
শেয়ার করুন:
ছোটক্লাসের সহপাঠী, যার সাথে প্রথম কথা উনত্রিশ বছর বয়সে, তোকারি দিয়ে শুরু এবং যেহেতু বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে যৌন অভিজ্ঞতায় পুরোনো হয়ে গেছে গা-ঘেঁসে বসার শারীরিক উত্তেজনা এবং মানসিক 'এই একটু, আরেকটু'ও সরাসরি নিয়ন্ত্রনে, ভূমিকা উবে গিয়ে চেহারাকামিয়ে বিয়ের পরবর্তি পুরুষের বাজারি চাহিদা, উপস্থাপন ও স্ত্রী'র 'তোমাকেই চাই', বাজার , সন্তান সমান্তরাল মনোযোগ ফ্যান্টাসির দিকে আলোচনার গতিপথ। এক আস্ত স্তবকের এই সূচনায়, সহপাঠী ও তার বন্ধু এবং সংযুক্তিতে, একটি পুরুষ ও আরেকটি মেয়ে, একটি অতিবিবাহিত, আরেকটি বিবাহেচ্ছু। পরামর্শ নয়, বরঞ্চ, পকেটে হাত ঢোকানোর বয়স থেকে আগ্রহ নিয়ে, সাবলীল হতে চাওয়া, বা এটি একটি প্রস্তুতি। শরীরের কসরৎ উদ্দেশ্য নয়, ফলে ছেলেটি পুরুষ, মেয়েটি নারী, সেটা বাদ দিলে ধারাপাত পড়া সাপলুডো'র দানের যোগ-বিয়োগ মিলবে না। এই জটিল দ্বিতীয় স্তবকে, মেয়েবন্ধুর প্রেমিক কিংবা সন্তানের বাবা, অথবা মোবাইল ফোনে সিম পাল্টে দেয়া লোকটি, আরও আথবা, চুমু দেয়ার পুরুষটি উপস্থিত। সহপাঠীটি বহুদিন বাদে জানতে পারে, তার মেয়ে সহপাঠীটির কথা, ঐ সিম পাল্টে দেয়া লোকটি বা তার সিগারেটরের বন্ধু, অথবা তার রাজনৈতিক উচ্চাঙ্খার স্বাক্ষী, কিংবা তার রাজনৈতিকমেধার খোরাক, এর কাছ থেকে। সেই থেকে একদিন যাওয়া। ফোনে তারআগে একদিন পরিচয়। সেই সহপাঠীর বাড়িতেও, সেই লোকটি আরেকদিন গেছে, একমহিলাকে নিয়ে, যিনি সমাজনিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন। কোথাও কোনও যৌন অশুদ্ধতা নেই, তাদের অর্থে। তবে সমাজনিয়ে কথা বাড়িয়ে মহিলাটির উপস্থিতি, সহপাঠীর বন্ধু ও ঐ লোকটির কথা নাবলায়, কারো ঠোঁটহীন হাসিতে, এবং কারোতুলে আনা মাখামাখি হবার প্রচেষ্টায়। কথা না বলে, সাদা স্ট্র্যাপ পাল্টে, কালো মাদার ব্রা বেরিয়ে আসে, এখানে বিছানায় বিশ্বাস ঝালিয়ে নেয়ার সঙ্গম ঘটছে না, কিংবা সিগারেট মুলতুবি থাকে কয়েক ঘন্টা। বিষয়টা বিছানা সম্পর্কিত প্রক্রিয়া।

প্রত্যেকদিন হাঁফ দিয়ে ঠেলে দিচ্ছে রোজনামচা, বাড়ছে দিন

২৬ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১:৩৫
শেয়ার করুন:
সেই বন্ধু, যার সাথে পত্রমিতালি নেই, ফোন নেই, কথা অল্প, কেবল জলভেজা বাতাস, রুমালে সেই জলগন্ধমোছা আছে। নির্বাচনে উত্তর পুনর্বিবেচনা করতে গিয়ে হোটেলঘরে কফির অর্ডার কালোরঙা উত্তাপে জড়ালো সে। মাশরুম ছিল কয়েকবছরের পাতানো সম্পর্কগুলির রস থেকে বেঁচেবর্তে। মাথার উপর ঝুলে আছে পুরোনি মেঘ, বোকা চাঁদ, এইরকম শব্দ, টেবিলে টেবিল থেকে চেয়ারে এবং পেছনথেকে মৃদু হাতের চাপে বাক্যহয়ে যায়। তারপর, শৌখিন জাদুকরের টুপি থেকে খরগোষ বেরুল, মাদারির হাততালিতে ফেটে পড়ল রক্তাক্ত ফুসফুস। মেয়েলি সাইকেলে রাত্রগভীর হওয়ার কিছু আগে বেল বাজল, চিঠি এলো টিকিটছাড়া খামে ভারী হয়ে । তারকয়েক মাইল দূরে নদীওযে একসময় নদী হয়ে ওঠে, সেইপাঠ দিচ্ছিল এক পূর্ন কিশোরি এক অপরিনত যুবককে। যুবক অন্ধকারে হাত ধরল, ছাড়িয়ে নিল, যৌনতার ইঙ্গীতে তার মন উথলে ওঠায় এবং তা গোপন করতে। হাতের কড়খাওয়া আঙুল নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করেনিল।সেইসব চরিত্ররা প্যানডোরা বাক্স থেকে কৌটোগুলো বের হবার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। রাস্তায় জমেগেল মানুষ। ভীষনগতিতে সাবাই জানতে চাইছে, কী হচ্ছে, বাঁচা-মরা, দুটোই কী অসম্ভব। যার যার পকেট থেকে প্রস্তুত হতে চিরুনি বার করার জন্য হাত ঢুকিয়ে বের করে আনল রুমাল। মাশরুম । নারী ও পুরুষ। মানুষ ও মানুষ। চিঠি না লেখার সাফল্য। কফির বিল দিয়ে কাপ চেটে নিল, দুজনেই, দুজনে আড়াল করে নিজেদেরকে।

বিষয়বস্তু

২৮ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১০:৫২
শেয়ার করুন:
উরুসন্ধিতে স্ফুটনাংকের নথি হাতে নিয়ে এটাই শেষ কথা নয়কোলাহল প্রসূত অন্ধকার ধ্বনির নিষাদ বাক্য গঠনও বিনিময়

কাহিনী উপন্যাস

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:৪৯
শেয়ার করুন:
সূচনা: জন্ম দিয়েও বিরক্ত হননি মধ্যবিত্ত দম্পতিউ....মমমম। ভাতকাপড়। চাবিছড়া। বেবি লোশন।চশমা পড়ে থাকে টেবিলে, খাপ বিহীন।অনুশোচনা: সাফল্যের ব্যর্থতায় হতাশ উত্তরসূরী, তার নাড়িছেড়া আত্মীয়। ম....মমমমম।খুচরো গৃহস্থালী।ধারাপাত।মোমসংখ্যা।পাশবই ধরে রাখে বেশ কথা।ছাপানো এবং ছাপাঅযোগ্য। শেষবার চশমা ভেঙেগেছে , খাপ মুছে মনে রাখা।। বাঁ-পাশের নোট: জাফরি'র ভেতরদিয়ে যেকোনও বোধসংশ্লেষ নিলামের হাওয়ায় জমা বিক্রেতার, অভাব। হাতসাফাই। অথবা হাওয়ারই গতিমুখ।____________________________________প্রতিনাম:অভাব। হাতসাফাই। অথবা হাওয়ারই গতিমুখ।

লবন শুধু, গন্ধ মৃত অবিশ্বাস

৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৯
শেয়ার করুন:
চুইয়ে পড়ছে হীরাকুচি ঘাম ।মধ্যরাতে নিশব্দ অনুরূপ বাতাস ।জিহ্বায় লবন শুধু, গন্ধ মৃত অবিশ্বাস ।ভাঁজে ঢাকা যায় দাগের জলছাপ।

শূন্য ও সাদা'র পক্ষান্তরে

০৪ ঠা জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:০৯
শেয়ার করুন:
যার রঙ শূন্য ও সাদা, তার পায়ে নখ, লম্বা হয়ে ছুঁয়ে গেছে কাঁপা রোদের সীমান্তরেখায়, ঠিক যার পরই আলোর মনস্তত্ব আলাদা। যে দূরে নড়ে নড়ে যায় চোখের পলক সন্ধীক্ষনের ফাঁকতালে, সেখানে ঘনত্ব উঠা-নামা করে, সেই ঘোসনা, ফিরতি চালে ভ্রূ বিচলন। সাবধানী সব মন্তব্য করতে গিয়ে,ছিটকনিতে আট-ঘাট, ভিক্ষা চেয়ে ফিরি'র আবহে ছল; মাধুর্য হারিয়েছে।

সনাতন বর্নবিলোপ

১৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ১১:১৬
শেয়ার করুন:

ভিতর দিকের শ্বাসবোধ কিছুটা মিথ্যাচারী হলেও, পাশকাটাবার ফাঁকে নীরব দর-দস্তুর: সন্তানের ধমনী টোপ রেখে কীট-সন্ত্রাস ছেঁটে ফেলার চেষ্টায় বাজি ধরে জিতে নিত ঝুল মাখা ঘুম। কিনারায় চলে যেতে যেতে সারিবদ্ধ পরিচিত চোখমুখ, হাত-পা, গন্ধ, ইশারা ও শব্দ গঠনে অলস ডুব দিয়ে যে দিন মৈথুন কিংবা মিথুন পার্থক্য নির্ণয়ে কেটেছে দীর্ঘ অপরাধ বঞ্চনার ক্লেশ, যুক্তি টোকা দিয়ে দিয়ে, এই বোঝা গেছে শেষে, নদী মাতৃক সভ্যতার চরে বসতি গড়ে ওঠে যেভাবে চাকার অভযোজন আমিও সেইমুখে রেখেছি সনাতন বর্নবিলোপ _________________________________এই ফুট নোটের সাথে উপরের সংযোগ আক্ষরিক সরাসরি নাই। এইটা বিজ্ঞাপনের পাতারপাশে কোটেশন মত, ফর্মা'র জায়গা ভরতে ।যার রাজনীতি নেই, সে ভুল,সে মৃত। যার রাজনীতি ভুল, সে জোচ্চোর শয়তান । রাজনীতি ও শয়তানের পাশাপাশি অবস্থান প্রলোভন,কিংবা তার পরিকল্পনা, সঠিক সংজ্ঞা নিরুপক।